Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

কভিড -১৯ ভেকসিন


কোভিড-১৯ মহামারীতে পৃথিবীর অনেক পরাক্রমশালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ ও বিজ্ঞানের বাঘা বাঘা প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষেধক তৈরিতে কাজ করছে। সেই তালিকায় যোগ হলো বিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে থাকা আমাদের বাংলাদেশ। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় স্বদেশী হিসেবে আমরা এসব গ্রহণ করতে পারছিনা। পরশুদিন যখন এই নিয়ে ছোটখাট খবর বেরুলো তখন সেসব পোস্ট "হাহা" রিয়েক্টের ছড়াছড়ি।
COVID-19 VACCINE




মন্তব্য বাক্সে তামাশা ভরা মন্তব্যে স্থির থাকা যায়না। অথচ, এরকমই কিছু বাংলাদেশী মহামারী শুরুর সময় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ভেক্সিন আবিষ্কার করছে আর আমাদের বিজ্ঞানীরা ৭০% অ্যালকোহল মিশিয়ে হ্যান্ডস্যানিটািজার বানাচ্ছে বলে বিদ্রুপ করেছিল। 

গ্লোব বায়োটেক একটি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানী। তাদের গবেষণা ল্যাবে কাজ করছেন ২৬ জন বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী। যার মাঝে ৭জন পিএইচডি ডিগ্রীধারী। দেশের মেধাবী এই সূর্যসন্তানরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটা প্রতিষেধক তৈরির প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করেছে। অথচ আমরা অনেকেই তাদের তাচ্ছিল্য করছি। কিন্তু পৃথিবীর অনেক প্রতিষ্ঠানই এমন প্রাথমিক অবস্থায় ছিল, রয়েছে। তাদের নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নাই, আপত্তি সব দেশের প্রতিষ্ঠানে। 

গ্লোব বায়োটেক তাদের ভেকসিন প্রিলিমিনারি অ্যানিমেল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে এবং তাতে তারা আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছে। এরপর তারা সিস্টেম্যাটিক অ্যানিমেল ট্রায়ালে যাবে যাতে সাফল্য পেলে মানুষের শরীরের এই ভেকসিনের কেমন প্রভাব পড়বে তা জানার জন্য হিউম্যান ট্রায়াল হবে৷ বর্তমানে বিশ্বে সম্ভবত ৩-৪ টি কোম্পানি এই হিউম্যান ট্রায়ালে আছে। কানাডার কুইবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেক্সিন গবেষণায় যুক্ত এলাকার বড় ভাই ড. আমিরুল ইসলাম ভাইয়ের মাধ্যমে জানলাম হিউম্যান ট্রায়াল একটু জটিল ক্রিয়া। এখানে অনেক ভেক্সিন বাদও পড়তে পারে। 

একজন বিজ্ঞানবিশ হিসেবে আমি সব সময় চাইবো গ্লোব বায়োটেক সফল হোক। বিজ্ঞান চর্চায় পশ্চাৎপদ এই দেশের ঝং ধরা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায়, হতাশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মনে একটি আশার হাওয়া সঞ্চার করুক। সবাই যাতে আশায় বুক বাঁধে যে আমাদের দেশের সন্তানদেরও যথাযথ সুযোগ সুবিধা দিলে তারাও আধুনিক বিশ্বের সাথে টেক্কা দিতে পারে। গ্লোভ বায়োটেক যদি কোন পেইজের ট্রায়ালে ফেইলও করে আমি মনে করি তা বড় করে প্রচার করা উচিত। যাতে এই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছায় যে, আমরা কোভিড-১৯ ভেকসিন তৈরিতে গবেষণা করেছি এবং আমরা পেইজ-১/২ তে ব্যার্থ হয়েছি। কারণ, এই ব্যার্থতাও এই দেশের জন্য বড় সাফল্য হবে, হবে অনুপ্রেরণার আঁতুরঘর।

পরিশেষে, কুনির্শ গ্লোব বায়োটেক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন